價格:免費
更新日期:2017-05-04
檔案大小:2.6M
目前版本:1.0
版本需求:Android 4.0.3 以上版本
官方網站:http://www.bendroidapps.com
Email:bendroidapps@gmail.com
聯絡地址:Skovmarken 6A 2770 Kastrup Denmark
০১. আরবের ভৌগোলিক পরিচয় এবং বিভিন্ন জাতির অবস্থান
সীরাতে নববী প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ শেষ পয়গম্বরের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাতির সামনে তা উপস্থাপন করেছিলেন। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোয় এবং বান্দাদের বন্দেগী থেকে বের করে আল্লাহ বন্দেগীর মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলেন।
আল্লাহর পয়গাম তথা পয়গামে রব্বানী
অবতীর্ণ হওয়ার পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ের অবস্থান তুলনামূলক আলোচনা ছাড়া সীরাতুন্নবীর পরিপূন চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয়। তাই মূল বিষয়ে আলোচনা শুরুর আগে ইসলাম পূর্ব আবরের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং তাদের জীবন যাপনের অবস্থা বর্ণনা করা একান্ত প্রয়োজন। এতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাবকালের অবস্থা সর্ম্পকে একটা সম্যক ধারনা পাওয়া যাবে।
“আরব” শব্দের আভিধানিক অর্থ সাহারা, বিশুষ্ক প্রান্তর বা অনুর্বর যমীন। তবে প্রাচীনকাল থেকে এ শব্দটি জাযিরাতুল আরব এবং তার অধিবাসীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে।,/p>
আরবের পশ্চিমে লোহিত সাগর এবং সায়না উপদ্বীপ, পূর্বদিকে আরব উপসাগর, দক্ষিনে ইরাকে বিরাট অংশ এবং আরো আরব সাগর। এটি প্রকৃতপক্ষে ভারত মহসাগেরর বিস্তৃত অংশ। উত্তরে সিরিয়া এবং ইরাকের একাংশ। এর মধ্যে কিছু বির্তকিত সীমানাও রয়েছে। মোট এলাকা দশ থেকে তেরো লাখ বর্গ মাইল।
দ্বীপসদৃশ্য এই আরব দেশটি প্রাকৃতিক এবং ভৌগোলিক দিক দিয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যন্তরীন ও বহিঃর্দিক থেকে এটি বহু প্রান্তর এবং মরুভমিতে ঘেরা। এ কারনেই এ অঞ্চলটি এমন সংরক্ষিত। অন্যরা এ অঞ্চলে নিজের প্রভাব সহজে বিস্তার করতে পারে না। তাই লক্ষ্য করা গেছে যে, জাযিরাতুল আরব মূল ভূখন্ডের অধিবাসীরা প্রাচীন কাল থেকেই নিজের সকল সম্পুর্ন স্বাধীন স্বয়ংসম্পূর্ণ। অথচ আরবের এসব অধিবাসী ছিলো তদার্নীন্তন বিশ্বের দু’টি বৃহৎ শক্তির প্রতিবেশি। এই প্রাকৃতিক বাধা না থাকলে সেই দুটি শক্তির হামলা প্রতিহত করার সাধ্য আরবের কোনদিনই হতো না।
বাইরে দিক থেকে জাযিরাতুল আরব ছিলো প্রাচীন কালে সকল মহাদেশের মাঝখানে। স্থলপথ ও জলপথ উভয় দিক থেকেই বর্হিবিশ্বের আরবের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিলো সহজ। জাযিরাতুল আরবের উত্তর পশ্চিম অংশ আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশ বা তোরণদ্বার। উত্তর পূর্ব অংশে ইউরোপ জাতি। পূর্বদিকে ইরান, মধ্য এশিয়া এবং দূর প্রাচ্যের প্রবেশ পথ। এ পথে চীন এবং ভারত পর্যন্ত যাওয়া যায়। এমনিভাবে প্রতিটি মহাদেশেই আরব দেশের সাথে সম্পৃক্ত। এ সকল মহা দেশগামী জাহাজ আরবের বন্দরে সরাসরি নোঙ্গর করে।
এ ধরনের ভোগোলিক অবস্থানের কারণে জাযিরাতুল আরব উত্তর ও পশ্চিম অংশ বিভিন্ন জাতির মিলনস্থল এবং ব্যবসা বাণিজ্য,শিল্প,সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় প্রাণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিলো।